নিজস্ব প্রতিবেদক।। চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে বিগত নির্বাচনে নৌকা নিয়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের অপসারণের দাবীতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ও জামায়াতে ইসলামীসহ বিক্ষুব্ধ জনতা ।
রবিবার (১৮ আগস্ট) সকাল ৭ টা থেকে উপজেলা পরিষদ, ফটিকছড়ি ও নাজিরহাট পৌরসভাসহ সুয়াবিল, সুন্দরপুর, কাঞ্চন নগর, দাঁতমারা, নারায়ণহাট,বাগান বাজার ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে তালা ঝুঁলিয়ে দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রবিবার সকাল থেকে ফটিকছড়ি উপজেলা পরিষদের গেইটের সামনে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত হয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের অপসারণে দাবীতে বিক্ষোভ করেন। এছাড়াও ফটিকছড়ি ও নাজিরহাট পৌরসভার প্রধান গেইটে তালা ঝুঁলিয়ে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ করেন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। অন্যদিকে সুয়াবিল, সুন্দরপুর, দাঁতমারা, নারায়ণহাট ও কাঞ্চন নগর ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্সে তালা ঝুঁলিয়ে দিয়ে অবস্থান কর্মসূচিসহ বিক্ষোভ সমাবেশ করেন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনসহ জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা।
এসময় নেতা-কর্মীরা শেখ হাসিনার অধিনে অনুষ্টিত বিগত নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান, মেয়র ও ইউপি চেয়ারম্যানসহ জনপ্রতিনিধিদের অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগ দেয়ার দাবি জানান।
জানা যায়, দুপুর ১২ টার দিকে উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শারমীন আক্তার নুপুর পরিষদে প্রবেশ করতে চাইলে উপজেলা মহিলা দলের নেতা-কর্মীরা তাকে বাঁধা প্রদান করে। এসময় তার সাথে ধস্তাধস্তি হয় বলে সুত্রে জানা যায়। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শারমিন নুপুর বলেন, ‘আমি কোনো লোভে পরে উপজেলা পরিষদে যায়নি। আমি আমার অধিকার আদায়ের চেষ্টা করেছি। তারা আমাকে বাঁধা দিয়েছে। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাই।
এদিকেশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের নাজিমুদ্দিন মুহুরী, ফটিকছড়ি পৌর মেয়র মো.ইসমাঈল হোসেন ও নাজিরহাট পৌর মেয়র একে জাহেদ চৌধুরী, সুয়াবিলের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, সুন্দরপুরের মুহাম্মদ শাহনেওয়াজ, নারায়ণহাটের চেয়ারম্যান আবু জাফর মাহমুদ, দাঁতমারার জানে আলম ও কাঞ্চন নগরের দিদারুল আলম, বাগান বাজার ইউপি চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সাজু আজ (রবিবার) অফিস করতে পারেনি।
এদিকে উপজেলার পরিষদ, দুই পৌরসভাসহ ৬ টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগনকে কার্যালয়ে অনুপস্থিত থাকার কারণে সেখানে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগণকে জম্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
জিবি/জেএম/ডেস্ক