নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ এক দম্পতির হাতে জিম্মি রামগড় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। গত ১১ বছর ধরে একই কর্মস্থলে বহাল আছেন বিজয় মজুমদার ও সুপ্রিয়া রানী পাল দম্পতি। সরকারী চাকুরী বিধি মতে এক ব্যক্তি দু ইবা তিন বছরের অধিক একই কর্মস্থলে থাকার নিয়ম না থাকলেও বিজয় দম্পতির বেলায় এটি সম্পুর্ণ ব্যতিক্রম। এ ছাড়া স্বামী স্ত্রীর বেলায় একই জায়গায় চাকুরী করার বিধান নেই। তবুও এই দম্পতি অদৃশ্য শক্তির বলে বছরের পর বছর ধরে একই কর্মস্থলে রয়েছেন বহাল তবিয়তে। বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলার আওয়ামী লীগ, যুবলীগ নেতাদের ছত্রছায়ায় বেশ দাপটের সাথেই নিজেদের রাজত্ব কায়েম করেছেন এই দম্পতি। গত ৫ আগষ্ট ছাত্র জনতার গন অভ্যুত্থানে আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর বিজয়ের শেল্টারদাতা আওয়ামীলীগ নেতারা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেলেও এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছে বিজয় মজুমদার দম্পতি।
ডিপ্লোমা মেডিকেল ফ্যাকাল্টি (ডিএমএফ) সনদধারী বিজয় মজুমদার গত প্রায় ১১ বছর ধরে উপ সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন রামগড় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। তাঁর স্ত্রী সুপ্রিয়া রানী পালও একই পদে দীর্ঘ বছর ধরে একই হাসপাতালে কর্মরত।
বছরের পর বছর ধরে এই দম্পতি একই কর্মস্থলে বহাল থাকার সুযোগে রামগড় এলাকায় গড়ে তুলেছেন তাদের নিজস্ব পেশি শক্তির এক বিরাট সম্্রাজ্য। গত ২০২৩ সালে রামগড় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৯ জন এমবিবিএস চিকিসক এই দম্পতির অশোভন আচরনসহ নানা অনিয়ম নিয়ে উপজেলার পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচপিও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তদন্তে অভিযোগকারী চিকিৎসকদের অভিযোগ সত্য প্রমানিত হয়। এ বিষয়ে উপজেলার পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জেলার সিভিল সার্জন বরাবর একটি প্রতিবেদনও দাখিল করেছিলেন। কিন্তু বিজয় মজুমদারের অদৃশ্য শক্তির কবলে পড়ে পরবর্তীতে আর আলোর মুখ দেখেনি ঔই প্রতিবেদন। উল্টো এ কারণে বিজয়ের রোষানলে পড়তে হয় অভিযোগকারী চিকিৎসকদের কয়েকজনকে।
চিকিৎসকদের দায়ের করা লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, বিজয় মজুমদার দম্পতি প্রায়ই সময় হাসপাতালে অনিয়মিত উপস্থিত থাকেন। ডিউটি থাকাকালীন প্রায়ই সময় অবস্থান করেন হাসপাতালের বাইরে। এ ছাড়া বিজয় মজুমদার অফিস সময়ে হাসপাতালে আগত রোগিদের সেবা প্রদানের নামে নিজের ব্যক্তিগত সীল ও ডাক্তার পদবীসহ ব্যক্তিগত ফোন নাম্বার ব্যবহার কওে অর্থ আদায় করেন। তাছাড়া হাসপাতালের রেজিস্ট্রাট এমবিবিএস চিকিৎসকদের সাথে একাধিকবার অশোভন আচরনের অভিযোগ তুলে ধরেন লিখিত অভিযোগে। কিন্তু এসব অভিযোগের কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি অদৃশ্য মক্তির ইশারায়।
এ ব্যাপারে রামগড় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার মোজাম্মেল হক বলেন, বিজয় মজুমদারের বিরুদ্ধে রামগড় হাসপাতালের চিকিৎসকরা একটি লিখিত অভিযোগ করেছিলেন। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর রেজ্যুলেশন করে তা প্রতিবেদন আকারে জেলা সিভিল সার্জন বরাবর প্রেরন করা হয়। সিভিল সার্জন উক্ত প্রতিবেদন পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবরে অগ্রবর্তি করেন। কিন্তু অদৃশ্য কোন হাতের ইশারায় সেটি আর আলোর মুখ দেখেনি।
ডাক্তার মোজাম্মেল আরো বলেন, ডিএমএফ সনদধারীরা নিজের নামের পাশে ডাক্তার লিখতে পারবেননা। এ নিয়ে হাই কোর্টে একটি রীট পিটিশনও দায়ের করেন পল্লি চিকিৎসকরা। কিন্তু মহামান্য হাইকোর্ট এ বিষয়ে কোন নির্দেশনা দেনননি। রীটকারীরা অর্থের জোড়ে বছর পর বছর এই রীট ঝুলিয়ে রেখে এটিকে পুঁজি করে ডাক্তার লিখে যাচ্ছে।
সরকারী চাকুরী করে কিভাবে একটি ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের মালিক হতে পারেন এমন প্রশ্নের জবাবে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আইন অনুযায়ী এটি করতে পারবেননা। কিন্তু নানা পারিপাশির্^ক প্রভাব আর কর্তৃপক্ষের উদাসিনতার কারণে এসব করার সুযোগ পাচ্ছে।
বিগত আওয়ামী সরকারের আর্শিবাদপুষ্ট এই দম্পতির পেশি শক্তির স¤্রাজ্য বিস্তৃত ছিল পাশের উপজেলা ফটিকছড়ির উত্তরাঞ্চলেও। বিশেষ করে উত্তর ফটিকছড়ির হেয়াকোঁ বাগান বাজার এলাকায় আওয়ামীলীগ নেতাদের সাথে বিশেষ সম্পর্কের কারণে তাদেও কোন বিষয়ে কেউ মুখ খোলার সাহস পেতোনা। এ ছাড়া রামগড় উপজেলা ও পৌরসভা এলাকায় এই দম্পতির ছিল একটি সংঘবদ্ধ আওয়ামী পেশি শক্তি সিন্ডিকেট। তাদের বিষয়ে কেউ কোন অভিযোগ করলে এই সিন্ডিকেট সদস্যদের দিয়ে সংশ্লিষ্ট অভিযোগকারীকে হেনস্তা করাতেন বিজয় দম্পতি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও দেশের প্রচলিত স্বাস্থ্য নীতিমালা মতে ডিএমএফ সনদধারীরা তাদেও নামের পাশে ডাক্তার লিখতে পারবেননা। কিন্তু মহামান্য হাইকোর্টের একটি রীট পিটিশনকে পুঁজি কওে বিজয় মজুমদার তাঁর চিকিৎসা পত্রে ডাক্তার লিখে সাধারন মানুষকে চিকিৎসা পত্র প্রদান করে বিভ্রান্ত করছেন প্রতিনিয়ত। যদিও ডিএমএফ সনদধারীদের ঔ রীটের কোন আদেশ দেয়নি মহামান্য হাইকোর্ট। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকজন এমবিবিএস চিকিৎসক জানান, ডিএমএফ সনদধারী বা পল্লি চিকিৎসকরা ডাক্তার লিখতে পারবেননা। এ বিষয়টি নিয়ে আদালত এখনো কোন নির্দেশনা দেননি। তাঁরা জানান, আদালত থেকে কোন ধরনের আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত ডাক্তার লিখাটা অনৈতিক।
এ বিষয়ে বিজয় মজুমদার আদালতের একটি রীটের কপি এ প্রতিবেদককে বার বার মোবাইলে দেখালেও আদালতের আদেশের কোন কপি দেখাতে পারেননি।
বিজয় মজুমদার একজন উপ সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার হলেও অল্প সময়ে বনে গেছেন অঢেল সম্পদের মালিক। রামগড় উপজেলা ও পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় নামে বেনামে ক্রয় করেছেন বিপুল পরিমাণ জমি।
ফটিকছড়ির হেয়াকোঁ বাজারের চেয়ারম্যান রোডে রয়েছে হেয়াকোঁ মেডিকেল সেন্টার নামে একটি ডায়াগনোস্টিক সেন্টার। এটির মালিক আগে সুমন নামের এক পল্লি চিকিৎসক থাকলেও গত কয়েকমাস আগে সুমনের কাছ থেকে মালিকানা কিনে নিয়েছেন বিজয় মজুমদার। যার তথ্য এ প্রতিবেদকের হাতে সংগৃহিত আছে। লাইসেন্স বিহীন এই ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের বর্তমান মালিক রামগড় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার বিজয় মজুমদার। চলতি বছরের জুনমাসে এটির লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হলেও গত পাঁচ মাস ধরে লাইসেন্স ছাড়াই চলছে এ ডায়াগনোস্টিক সেন্টারটি। এই ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে ফার্মেসির অনুমোদন না থাকলেও এখানে মজুদ রাখা হয় বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানির ঔষধ। এ ছাড়া বিজয় মজুমদারের হেয়াকোঁ বাজারের আগের চেম্বারে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগিদেরকে এখানে ভর্তি রেখে স্যালাইন পুশ করাসহ চিকিৎসা দেয়া হয়।
এ বিষয়ে হেয়ার্কো মেডিকেল সেন্টারের সাবেক মালিক পল্লি চিকিৎসক সুমন বলেন, বিজয় মজুমদার তাঁর ব্যবসায়িক পার্টনার ছিলেন। কিন্তু চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে বিজয়ের নানা অনিয়ম আর অপচিকিৎসার কারণে তিনি অতিষ্ঠ হয়ে তাঁর পার্টনারশীপের ইতি টানেন। সুমন বলেন গত কয়েকমাস আগে এই ডায়াগনোস্টিক সেন্টার বিজয় মজুমদার তাঁর কাছ থেকে মালিকানা কিনে নিয়েছেন। সুমন বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়ম মতে পল্লি চিকিৎসকরা ডাক্তার লিখতে পারবেনা। তিনি নিজেও ডাক্তার লিখেননা। কিন্তু বিজয় মজুমদার এই নিয়ম মানতে নারাজ।
এদিকে রামগড় উপজেলার পাশাপাশি বিজয় মজুমদার উত্তর ফটিকছড়ির হেয়াকোঁ বাগান বাজার এলাকায় বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে গড়ে তুলেছেন তাঁর বিশাল সম্্রাজ্য। স্থানীয় এক আওয়ামীলীগ নেতার পরিবারের সাথে বিশেষ সখ্যতার সুযোগে বিগত ১৭ বছর ধরে এক দাপুটে রাজত্ব কায়েম করেছেন বিজয় মজুমদার।
স্থানীয় হেয়াকোঁ বাজারে জনৈক আবদু মেম্বারের মার্কেটে ছিল তাঁর ব্যক্তিগত চেম্বার। এখানে ঘর ভাড়া নিয়ে দোকান মালিকের ছেলে আলমগীরের সাথে সৃষ্টি হয় তাঁর চরম বিরোধ। যা স্থানীয় চেয়ারম্যান পর্যন্ত গড়ায়। এ নিয়ে হেয়াকোঁ বাজার কমিটি বিজয় মজুমদারকে ভাড়া পরিশোধে একাধিকবার লিখিত নোটিশ দিলেও তাতে কর্ণপাত করেননি বিজয়। এর পর কমিটির সিদ্বান্তে আলমগীর তাঁর দোকানে তালা ঝুলিয়ে দিলে বিজয় ঔ আওয়ামীলীগ নেতার ছেলেকে দিয়ে তালা ভেঙ্গে পূনরায় চেম্বার করতে থাকেন বলে জানান আলমগীর। এ নিয়ে দোকানের মালিক আলমগীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন কর্মকর্তাও নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার পাননি।
অবশ্য গত ৫ আগষ্ট ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী সরকারের পতনের পর উক্ত দোকান ছেড়ে দিতে হয় বিজয়কে। বর্তমানে হেয়াকোঁ মেডিকেল সেন্টারেই নিজের ব্যক্তিগত চেম্বার করছেন বিজয় মজুমদার।
এদিকে বিজয় মজুমদারের বিরুদ্ধে রয়েছে বেশ কয়েকজন রোগিকে ভূল চিকিৎসা দেয়ার অভিযোগ। পেটের ব্যাথার চিকিসা নিতে গিয়ে বিজয় মজুমদারে
ভূল চিকিসার কারণে শেষ পর্যন্ত নিজের জড়ায়ু কেটে ফেলতে হয় জাহানারা নামের এক নারীর। জাহানার ছেলে আইয়ুব এ প্রতিবেদককে বলেন, তাঁর মায়ে পেটের ব্যাথা হওয়ার পর প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য বিজয় মজুমদারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। এর পর বিজয় মজুমদার কি চিকিৎসা করেন আমরা জানিনা। এর পর অবস্থার অবনতি হয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরন শুরু হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা বলেন ভূল চিকিৎসার কারণে মূলত তাঁর এমন অবস্থা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত তাঁর জড়ায়ু কেটে ফেলতে হয়। এর পর থেকে অনেকটা মৃত্যুর প্রহর গুনছেন সত্তরোর্ধ জাহানারা। বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি না করতে বিজয়ের পক্ষ নিয়ে জাহানারার ছেলে আইয়ুবকে নানাভাবে শাসান হেয়াকোঁ এলাকার প্রভাবশালী ঐ আওয়ামীলীগ নেতার ছেলে।
এছাড়া পারভীন আক্তারসহ আরো দুই নারীও বিজয়ের অপচিকিৎসার শিকার হন। যদিও সামাজিক লোকলজ্জার ভয়ে গনমাধ্যমের সামনে আসছেননা তাঁরা।
সর্বশেষ গত ২৯ সেপ্টেম্বর বিজয় মজুমদারের অপচিকিৎসার শিকার হয়ে মারা যান কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত স্কুল ছাত্র কিশোর রাকিব। বিষয়টি নিয়ে এ প্রতিবেদক নিউজ করার পর বিজয় মজুমদার একাধিকার ব্যক্তিকে দিয়ে নিউজটি অপসারন করার প্রস্তাবও দেন। কিন্তু তাতে সফল না হয়ে পরে রাকিবের পরিবারকে বিশেষ কৌশলে ম্যানেজ করেন বিজয়।
শুধু জাহানারা, পারভীন বা রাকিব নয় এ ধরনের আরো অনেকেই রয়েছেন যারা বিজয়ের ভুল চিকিৎসার শিকার। কিন্তু সামাজিক নানা জটিলতার কারণে তারা মিডিয়ার সামনে আসতে চায়না। নিজের ক্যরিয়ারে বড় ধরনের কোন ডিগ্রি না থাকলেও ডিএমএফ সনদধারী বিজয় নিজেকে এতদঞ্চলে ডাক্তার হিসেবেই পরিচয় দিয়ে বেড়ান। এতে গ্রামীন জনপদের সহজ সরল মানুষ তাঁকে বিরাট বড় ডাক্তারই মনে করেন।
এতসব অনিয়মের বিষয়ে বিজয় মজুমদারের বক্তব্য জানার জন্য তাঁর সাথে রামগড় হাসপাতালসহ হেয়াকোঁ এলাকায় একাধিকবার কথা বলার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি প্রতিবারই কথা না বলে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দকে দিয়ে এ প্রতিবেদককে ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন।
বিগত আওয়ামী সরকারের দোসর এবং আওয়ামীলীগ যুবলীগ নেতাদেও দাপটে এতদঞ্চলে নিজের রাজত্ব কায়েক করা বিজয় মজুমদার দম্পতি এখনো কিভাবে রামগড় হাসপাতালসহ উত্তর ফটিকছড়িতে বহাল তবিয়তে আছেন এটিই এখানকার সচেতন মহলের প্রশ্ন।
এদিকে এসব বিষয়ে ফটিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা (ইউএইচপিও) ডাক্তার আরেফিন আজিম বলেন, হেয়াকোঁ ডায়াগনোস্টিক সেন্টার ইতোপূর্বে একবার বন্ধ করা হয়েছিল। লাইসেন্সের মেয়াদ না থাকলে খতিয়ে দেখে সকল অনিয়মের বিষয়ে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জিবি/জেএম/ডেস্ক